মতিন রহমান, ডিষ্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, মাগুরা
মাগুরার মহম্মদপুরের বলরামপুর গ্রামের শমসের বিশ্বাস নামের এক ব্যাক্তি কাছ থেকে ২০১৭ সালে তার আপন বড় ছেলে হবিবর বিশ্বাস ৮ শতক জমি কিনে রাখেন। তখন সেই জমি রেজিস্ট্রেশন করে দেন তার বাবা। এরপর ২০১৮ সালে হবিবর বিদেশে যান। কয়েকমাস পরে আবারো ১০শতক জমি বিক্রি করার কথা বললে তা কিনে রাখেন হবিবর। প্রথম আট শতক জমি আড়াই লক্ষাধিক টাকা আর দশ শতক জমি সাড়ে তিন লক্ষাধিক টাকা কেনা সহ তার বাবাকে সাক্ষী রেখে দুই লক্ষাধিক টাকায় প্রতিবেশির কাছ থেকে একটি জমি বন্ধক নেন এবং সেখানেও শমসের বিশ্বাস সাক্ষী রাখা হয় । বাড়ির জমি অন্য লোকে যেনো কিনতে না পারে এজন্য এসব জমি তার বাবার কাছ থেকে কিনে রাখেন হবিবর।
কয়েকমাস পরে শমসের বিশ্বাস বৃদ্ধ বয়সে আবারো বিয়ে করেন। এখন শমসের ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা হবিবরের স্ত্রী নারগিসের সঙ্গে ঝগড়া বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। এসময় জমি বিক্রি করা ও জমি বন্ধকের কথা অস্বীকার করেন শমসের। পরে জমি রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে দলিলে খেলেন তার স্বামীর নামে মাত্র চার শতক জমি লিখে দিয়েছে। আর দশ শতকের জমি বিক্রি করেননি বলে সাফ জানিয়ে দেন শমসের। দশ শতক জমির কোনো দলিল এখনো করে দেননি শমসের। বাবার হাতে ছেলে প্রতারণার শিকারের এমন ঘটনায় আদালতে মামলা করেন হবিবরের স্ত্রী নারগিস। ওই মামলার তদন্তে নারগিসের পক্ষে সত্যতা পায় তদন্ত কর্মকর্তারা। এই অবস্থা এখনো মামলা চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে। মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে নারগিসকে তার বাড়িতে জিম্মি করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নারগিস। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অসহায় নারগিসের বাড়ির চারপাশ পাটকাঠির বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখেছে তার শশুর ও শশুর বাড়ির লোকেরা। এতে বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না নারগিস সহ তার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে ও একমাত্র শিশুপুত্র। এমনকি তারা ঠিকমতো স্কুল কলেজেও যেতে পারছে না। এক ধরনের মানবেতর জীবন পার করছে নারগিস ও তার পরিবার। স্বামী বিদেশ থাকায় প্রতিবাদও করতে পারছেন না তিনি। এসময় নারগিস বলেন, তাকে বিভিন্ন সময়ে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে, নির্যাতন করাসহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে তার শশুর শাশুড়ি দেবর ননদরা। জমিজমা ফিরে পাওয়া সহ বাড়ির চারপাশে বেড়া উঠিয়ে দিয়ে তাদের চলাফেরার সুবিধা দিতে আইন ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন নারগিস ও তার সন্তানেরা। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে শমসের বিশ্বাস ও তার ছোট ছেলে তকুব্বর সহ পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ঘিরে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। জমিজমা ও টাকা পয়সার বিষয়টি অস্বীকার করেন যদিও জমি বিক্রি ও টাকা নেওয়ার সমস্ত লিখিত স্ট্যাম্পে লিখিত রয়েছে।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।