ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | সময় বাংলার | গাইবান্ধা
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গাইবান্ধা-৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বেশ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এখন থেকেই নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাট ছোট শোডাউন, গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্য দিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে এরই মধ্যে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগের মনোনয়োন প্রত্যাশী নেতাকর্মীরা। অন্য দলের প্রার্থীরা মাঠে না নামলেও ব্যানার ফেস্টুনে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। বর্তমান এমপি উত্তরবঙ্গের সাহসী ও পরিশ্রমী নেত্রী হিসাবে পরিচিত। যিনি দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলা শহর কৃষকলীগকে সুসংগঠিত করেছেন।
সেই কৃষক কন্যা সাবেক সংরক্ষিত আসনের এমপি ও কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমানে গাইবান্ধা-৩ আসনের সংসদ সদস্য কৃষকবান্ধব নেত্রী এ্যাড.উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি। যার নেই অহংকার নেই কোন হিংসা-বিদ্বেশ সবার সাথে কাজ করার প্রত্যয়ে গত উপনির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে করোনা ও ইউক্রেণ যুদ্ধে উন্নয়ন স্তম্ভ হলেও যতটুকু উন্নয়ন করেছেন কিংবা উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সুযোগ সময় কম হলেও এলাকায় জনগন ও দলীয় নেতাকর্মীর সুস্পর্ক বজায় রেখে তৃনমুল মানুষের ভালোবাসায় আবারো এগিয়ে নিতে চায় গাইবান্ধা-৩ আসনের এলাকাবাসী। বিগত সময়ে বহু প্রতিকুলতার মধ্যে দিয়েও আল্লাহর রহমতে মরনব্যথি করোনায় আত্রান্ত হয়ে এলাকার মানুষের পাশে দাড়িয়ে ও দলকে সুসংগঠিত করার প্রত্যয়ে সংগ্রাম করে তিনি টিকে আছে এখনও স্ব-মহিমায়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনীতির মাঠে আলোচনা সমালোচনার মধ্যেদিয়েও নেতাকর্মীদের মাঝে এগিয়ে আছেন স্মৃতি এমপি। তিনি শক্ত হাতে ধরে রেখেছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও নৌকা প্রতীক। তিনি একমাত্র সাহসী ও জনপ্রিয় নেত্রী যিনি দলীয় ভোট ও সহযোগিতার মাধ্যমে জাতায়েত-বিএনপি’র কাছ থেকে জনগনের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন উপনির্বাচনে গাইবান্ধা -৩ আসনের আসনটি। নির্বাচনকে সামনে রেখে এর ফাঁকেই উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের একটি অংশ সরাসরি চরম বিরোধীতায় নেমে পড়েছে গত দুই বছর ধরে। কেউ কেউ আদার জল খেয়ে মাঠে রয়েছে সুকৌশলে। মিশন একটাই রাজনৈতিক ক্ষমতা পেতে নৌকা প্রতীক নিতে হবে। এই ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের একত্যাগী নেতা বলেন, চলতি সময়ে যত দন্ধ তার প্রধান কারন আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনীর নৌকার টিকিট। আসলে এখনও দু-উপজেলার মধ্যে বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এমপি স্মৃতির বিকল্প নেই। ক্ষমতার সময়ে প্রতিটি দলে নেতার অভাব থাকে না। সাধারণ নেতাকর্মীরা সকল বিষয়ে অবগত আছে বিধায় এখনও এমপি স্মৃতির বিকল্প প্রার্থী খুজে পাওয়া যায় নি। তবে যারা ব্যানার ফেস্টুন ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যম দিয়ে পরিচিত ও মনোনয়োন প্রত্যাশী তারা কিন্তু বসন্তেরকোকিল। মনোনয়োন না পেলে খুজে পাওয়া যাবে না। বিগত উপনির্বাচনে ২২জন প্রার্থী মনোনয়োন চাইলেও মাঠে দু-একজন ছাড়া কেউ ছিল না নৌকার পাশে। আর এবারের সংসদ নির্বাচন আর আগের নির্বাচনী পরিবেশ এক হবে না। তাছাড়া বর্তমান সরকারের প্রধান বিরোদী দল বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিধায় নতুন মুখ আসলে নেতাকর্মী ও জনগনের সাথে পরিচিত হতে হতে আসনটি হারানোর সম্ভাবনাময় বেশী। তাই দু-উপজেলাবাসী এ্যাড.উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপিকে আবারো গাইবান্ধা-৩ আসনে এমপি হিসেবে দেখতে চায়। আর উন্নয়ণের ধারা অব্যাহত রাখতে এমপি স্মৃতির হাত ধরে এগিয়ে যেতে চায় দু-উপজেলার মানুষ । এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, নেতৃত্বের হিংসা প্রতিহিংসা বিদ্বেষ যতই থাক আমরা আ’লীগ পরিবার সবাই একই আছি। যেই মনোনয়োন পাবে তার পিছনে উপজেলা আ’লীগসহ অঙ্গসহযোগী কাজ করবে। প্রতীকের ব্যাপারে এমপি বলেন, আসলে আওয়ামী লীগ এদেশের একটি শ্রেষ্ঠ ও সেরা উন্নয়নের দল। আর এই দলটির অবস্থান কেমন তা সারা পৃথিবী ভালো জানে। এটাও সত্য যে প্রতিটি জেলা উপজেলার মধ্যে দলের নেতৃত্ব নিয়ে কম বেশী গ্রুপিং আছে। আমার কৃষিবান্ধবনেত্রী কৃষকরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জনগনের আকাংখা ও স্বপ্ন পুরনের জন্য রাজনীতি করি নিজের প্রয়োজনে নয়। দু-উপজেলার নেতৃত্বে আমাদের কারো কোন কমতি বা ঘাটতি নেই। সবারেই অধিকার আছে নির্বাচন করার। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রী যাকেই মনোনয়োন দিবে তার পিছনেই কাজ করবো ইনসোআল্লাহ। আর সকল প্রার্থীকে বলতে চাই নিজেরদের মধ্যে কাঁদা ছোড়াছুড়ি না করে জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া ও আবারো প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দেশের জনগনের সেবার ও জীবনমান উন্নয়নের স্মার্ট বাংলাদেশ করার সহযোগিতা করি।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।