ফরিদা রানু
আমাকে বাহাত্তর ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে – রাজকন্যা কে অবশ্যই খুঁজে আনতে হবে।
আকাশকে জিজ্ঞেস করলেম- কোথায় রাজকন্যা? উত্তরে জানলেম- হেটে গেছে দিগন্তের ধারে পথে ফেলে গেছে হাতের সবুজ পান্না দুচোখে তার বয়ে গেছে বন্যা দিগন্তের কাছে জিজ্ঞেস করলেম – রাজকন্যা কে দেখেছ? জবাবে জানালো _ ঐযে গোধুলি লাল-হলুদ রঙ মেখেছে সে পথে পরীর মতো উড়ে বেরিয়েছে আলতো পায়ে, হঠাৎ দেখি নেই, জানিনে কোথায় গেছে নিমেষে।
আলোকিত দিন শেষে সন্ধ্যে তারাকে বললেম- রাজকন্যা কোথায়? তুমি কি বলতে পার? _ হয়তো চাঁদ লুকিয়ে রেখেছে হেথায় যাও বাপু আমি চললেম।
দুষ্টু চাঁদ – বল কোথায় রেখেছ রাজকন্যাকে? না হলে দ্বখন্ডিত করবো এই তলোয়ারে।
ভয়ে ভয়ে বললে- সেতো লুকোচুরি খেলে আমারে একেলা করে চলে গেছে ভাবলেম রাজকন্যা হয়তো সুরুজের কাছে গেছে সূর্য তাকে লুকিয়ে রাখে পাছে এক বুক কষ্ট নিয়ে অপেক্ষা করলেম তার জন্যে কি আজব সেও জানেন না রাজকন্যা কোথায় আছে।
চিৎকার করে ডাকলাম – রাজকন্যা, রাজকন্যা তুমি যেখানেই থাক চলে এসো, নয়তো আজ ভীষণ অঘটন ঘটবে চাঁদ, তারা, সূর্য সবার ঘাড়ে পরবে কঠিন ডান্ডা।
নতজানু হয়ে বিলাপ করলেম- রাজকন্যা যেখানে থাক ফিরে এসো তোমার জন্য লাল শাড়ি আনলেম সোনার গহনা, মুকুট সব পানিতে ফেললেম শুধু ফিরে এসো তুমি তন্নতন্ন করে খুঁজলেম নীল আসমান সবুজ কচি জমিন সিন্ধু পাড়ে দাঁড়িয়ে দেখলেম কেমনে দিন হয় বিলিন।
কিন্তু রাজকন্যা তো এলোনা।
বাহাত্তর ঘন্টা পেরিয়ে গেল এরপর অমাবস্যা এলো তবুও খুঁজে বেড়াই _ রাজকন্যা সে কোথায় গেল?? আহা রাজকন্যা।
কেন এমন শূণ্যতা চাঁদ হাসেনা, পাখি গান গায়না সূর্যের আলোতে চোখ ঝলসে যায় তবু রাজকন্যা কে দেখতে মন চায়। নিজের অজান্তে অশ্রু গড়িয়ে মাটিতে পরলো মাথা কুটে অজ্ঞান হয়ে রইলো তবুও রাজকন্যা এলোনা।
এভাবে কত শত বাহাত্তর ঘন্টা গেল তবু রাজকন্যা ফিরলোনা।