এতিম ও কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের ভালোবাসার নাম হুমায়ুন কবীর সাগর।
আরিফ হোসেন হারিছ, মুন্সীগঞ্জ
নবী করীম হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন “তুমি যাকে ভালোবাসো তার সাথেই তোমার হাশর হবে” অর্থাৎ তুমি যাকে ভালোবাসবে তার সাথেই কেয়ামতের দিন উঠতে হবে”। মানুষের জীবনকালের অবসানের পর তার আরো একটা রুহ কাল অর্থাৎ আরো একটি কাল আছে। সেকালের নাম পরকাল। পৃথীবির রঙিন জীবন কালের পরও যে আরো একটি জীবন কাল আছে সেটি পৃথিবীর সকল মুসলিম বিশ্বাস করে। সেই ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে ইহকাল ও পরকালে আল্লাহ’র নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্য সময় পেলেই ছুটে যান বিভিন্ন মাদরাসার এতিম ও কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের কাছে। এতিম ও কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণে সুবিধা অসুবিধার খবর নেওয়াসহ সময় কাটান তাদের সাথে। মানুষজন রাজনীতি আর অর্থ বিত্তের পেছনে ব্যস্ত হয়ে সময় ব্যয় করলেও তিনি এর পুরোটাই ব্যতিক্রম। সমাজের মানুষ কে কাকে পেছনে ফেলে কে এগি যাবে সেই প্রতিযোগীতায় ব্যস্ত থাকলেও এসব নিয়ে তেমন আগ্রহ কিংবা খেয়ালই নেই তার। মানুষ সময় পেলে প্রিয়তমা কিংবা প্রিয় মানুষের সান্যিধে যায়, তেমনি এএনএম হুমায়ুন কবীর সাগরও সময় পেলে ছুটে যান এতিম ও কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের কাছে। তাদের সাথে খাবার খাওয়ার পাশাপাশি ভাগাভাগি করে নেন সুখ দুঃখ ও আনন্দ।
বর্তমান সমাজেও এমন কিছু মানুষ আছে যারা নামে-ডাকে খুব একটা বিখ্যাত না হলেও গুণে-মানে সেরা। আর গুণে-মানে সেরা হয়ে এতিম ও শিশু শিক্ষার্থীদের মনে ভালোবাসার জায়গা করে নিয়েছেন এএনএম হুমায়ুন কবীর সাগর। ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা এতিমখানা ও মসজিদ মাদ্রাসার মানুষ তাকে সাদা ও সৎ মনের মানুষ বলেই চেনেন।
সমাজে এখনো এমন অনেক মানুষ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন যারা গোপনে ভোগ বিলাসের পেছনে লাখ লাখ টাকা খরচ করেন অথচ রাস্তার পাশে একজন ভিখারীকে প্রকাশ্যে আল্লাহর নামে ১০ টাকাও দিতে চান না। সমাজের সেইসব মানুষদের থেকে হুমায়ুন কবীর সাগর পুরোটাই ব্যতিক্রম। তার অর্থ সম্পদের প্রাচুর্য্য থাকার পরও মনে অহংকারের রেশ পর্যন্তও নেই। নেই বিলাশী জীবন যাপনও। নিরহংকার ও সাধারণ জীবন ধারার ব্যক্তিদের মর্ধ্যে ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এতিম শিশু শিক্ষার্থীদের ভালোবাসেন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে হুমায়ুন কবীর সাগর অন্যতম একজন।
মহান সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির সেরা জীব মানব সেবার মাধ্যমে তার নৈকট্য লাভের নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অবিরত। সমাজের একাংশের মানুষ যেখানে চেতনাকে পুঁজি করে অন্যের অধিকার হরনের প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত, সেই সমাজের স্বার্থবাদী আর মুখোশধারী মানুষদের ভীড়ে স্বার্থহীন হয়ে নিভৃতচারী হুমায়ুন কবীর সাগর সমাজের অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর পাশাপাশি এতিম শিশুদের ভালোবেসে যাচ্ছেন অবিরত।
স্বার্থ ছাড়া যেখানে কেউ কারো জন্য একপা এগুতো চায় না সেখানে হুমায়ূন কবীর সাগর আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পরকালে ভালো থাকার স্বার্থে এতিম ও শিশু শিক্ষার্থীদের সান্যিধ্যে নিজোকে বার বার হাজির করছেন। আর এ কারণেই মাদ্রাসার এতিম শিশু শিক্ষার্থীদের মনে হুমায়ুন কবীর সাগর জায়গা করে নিয়েছেন।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।