কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলায় ধর্ষণের পর দুই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কাস্তুল ইউনিয়নের মসজিদজাম সোনারুহাটি ও দেওঘর ইউনিয়নের দেওঘর কান্দিপাড়ায় ঘটেছে এমন ঘটনা। ধর্ষিত কিশোরীদের মধ্যে একজনের বয়স ১৩ বছর ও আরেকজনের ১৫ বছর। তাদের মধ্যে প্রথমজন অষ্টগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
কাস্তুল ইউনিয়নে ধর্ষিত কিশোরীর মা জানায়, চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি রাতে তার মেয়ে ঘরে একা ছিল। ওইদিন আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে মেয়ে বাহিরে গেলে একই গ্রামের বাসিন্দা মুনসুর মিয়া (৫৫) ও শেখ নজরুল ইসলাম (৪৫) নামের দুজন তার ঘরে ঢুকে লুকিয়ে থাকেন। পরে মেয়েটি ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করলে ধর্ষকরা তার মুখ চেপে ধরে হাত-পা বেঁধে তাকে গণধর্ষণ করেন। পরে এ কথা কারও কাছে বললে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন ধর্ষকরা। কিশোরীর মা বলেন, ভয়ে মেয়ে এ পর্যন্ত মুখ খোলেনি। ইদানিং তার শরীরে পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেলে তাকে সব খুলে বলার জন্য চাপ দেই। তখন সে ধর্ষিত হওয়ার কথা স্বীকার করে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে জানতে পারি সে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম মোল্যা বলেন, ‘আমি লোকমুখে শুনেছি ধর্ষিত মেয়েটি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি আমি আমার সার্কেল অফিসারকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে থানায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।’
এদিকে, দেওঘর ইউনিয়নে ধর্ষিতা কিশোরীর বাবা (৭০) জানান, ‘আমি হতদরিদ্র মানুষ। ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করি। নিজের বাড়ি না থাকায় দেওঘর কান্দিপাড়ায় হাজী এমরান মিয়ার বাড়ির পাশের জমিতে থাকতাম। আমি দিনের বেলা বাড়ি থাকি না বলে প্রতিবেশী মো. জাসেম মিয়া (২১) আমার বাড়িতে ঢুকে কাপড়-চোপর ও টাকা পয়সার লোভ দেখিয়ে আমার মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের কথা কারও কাছে না বলার জন্য হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়।’ বর্তমানে মেয়ে ৫/৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলেও জানান ওই বৃদ্ধ বাবা। ধর্ষক মো. জাসেম মিয়া উপজেলার দেওঘর মোল্লা বাড়ির আলমগীরের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম মোল্যা বলেন, এ বিষয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ২০০৩ (সংশোধনী) আইনের ৯(১) ধারায় মামলা হয়েছে। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার পর ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।