সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সৎ মায়ের সহযোগিতায় পিতা কর্তৃক মেয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নে চর হরিনাথপুর গ্রামে এক কিশোরী তার পিতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চর হরিনাথপুর গ্রামের শাহজাহান ওরফে পাপরের ছেলে মনিরুল ইসলাম (৩৫) তার কিশোরী মেয়েকে দীর্ঘদিন যাবৎ জোর পূর্বক ধর্ষণ করে আসছে। পরবর্তীতে বিষয়টি মেয়েটি আমাদেরকে অবহিত করে।
ভূক্তভোগী কিশোরী জানায়, আমার সৎ মায়ের সহযোগিতায় গত ১ বছর যাবৎ পাষন্ড পিতা জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আসছে। অনেক কাকুতি-মিনতি করেও তার ধর্ষণের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারেনি। ধর্ষণের কথা প্রকাশ করলে গলাটিপে হত্যা করবে বলে আমাকে ভয় দেখায়। পরবর্তীতে তার এই অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে আমার বান্ধবীর ভাইয়ের কাছে গিয়ে বলি আমাকে বাঁচান। আমি আর আমার পিতার যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছি না। কথাগুলো শুনে বান্ধবীর ভাই খায়ের (হুজুর) আমাকে সিরাজগঞ্জের মিরপুর এলাকায় তার বোনের বাসায় আশ্রয় দেয়।
খায়ের ইসলাম জানায়, আমার ছোট বোনের বান্ধবী মুখে ওর পিতার কর্তৃক ধর্ষণের কথা শুনে আমি হতবাক হয়ে যাই। তারপর ওর নিরাপত্তার স্বার্থে আমার বোনের বাসায় রেখে দেই। ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা করার কারণে কিশোরীর বাবা মনিরুল ইসলাম আমাকে মিথ্যা অপবাধ দিয়ে ফাঁসানো পায়তারা করেন। পরবর্তীতে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের কাছে ওই কিশোরী সত্য ঘটনা খুলে বলে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ বলেন, আমরা ঘটনাটি কিশোরীর মুখ থেকে জানতে পেরেছি। ঘটনাটি সত্য। বর্তমানে ধর্ষক পলাতক রয়েছে। যার কারণে আমরা এর সমাধান করতে পারছি না।
রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোনিয়া সবুর আকন্দ জানান, যে ঘটনাটি ঘটেছে এতে আমি খুবই মর্মহত। আমরা স্থানীয়দের সাথে বসেছিলাম বিষয়টি নিয়ে। এতে কোন সমাধানে আসতে পারি নাই। বর্তমানে মেয়েটি স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্য আকলিমা খাতুনের কাছে রয়েছে। যদি কোন এনজিও প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোন সামাজিক বা নারীদের সহায়তা প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসে তাহলে মেয়েটির একটা নিরাপত্তা ব্যবস্থা হয়।