ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এরইমধ্যে হাটে পশু উঠতে শুরু করেছে। তবে বেচা-বিক্রি তেমনটা শুরু হয়নি। হাটে দর্শক আছে, তেমন ক্রেতা নেই। এদিকে অনলাইনেও সাড়া মিলছে না ক্রেতার। এমন পরিস্থিতিতে বেশ দুশ্চিন্তায় লক্ষ্মীপুরের খামারিরা। লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছেন তারা। তবে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন, ইতোমধ্যে অনলাইনে গরু বিক্রির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, ক্রেতাখরা কেটে যাবে ঈদের দুই-চারদিন আগেই।
লক্ষ্মীপুরের অন্যতম বৃহৎ গরুর হাট সদর উপজেলার বেড়ির-মাথা। এখানে রবি ও বৃহস্পতিবার হাট বসে। গত রবিবার দুপুরে এই হাট ঘুরে দেখা যায়, করোনায় বন্ধ থাকার পর হাট খোলা হলেও লোকসমাগম খুব সামান্য। খামারি ও বিক্রেতারা বলছেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ক্রেতা মিলছে না। দুই-একজন যা আসছেন, তারা যে দাম বলছেন তা কাক্সিক্ষত নয়। সে কারণে গরু বিক্রি করতে পারছেন না। তাদের মতে, মানুষের মধ্যে ঈদ নিয়ে তেমন আগ্রহই নেই। কেননা গত বছর এই সময়ে রাস্তায়, হাটে, খামারে ক্রেতারা কোরবানির পশুর জন্য ঘোরাঘুরি করেছেন; কিন্তু এবার কারোরই দেখা মিলছে না। গরু বিক্রেতা রাজ্জাক মিয়া বলেন, সিরাজগঞ্জ থেকে বেশ কয়েকটি গরু এনেছি লক্ষ্মীপুরের এ হাটে বিক্রি করার প্রত্যাশায়; কিন্তু গত বছর যে গরু বিক্রি করেছি ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে দ্ইু লাখ টাকায়; এবার সেটির দাম ১ লাখের বেশি উঠছে না। গরু বিক্রি না হলে কী যে হবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. যোবায়ের হোসেন বলেন, এই মুহূর্তে হাটে ক্রেতা কম ঠিকই, কিন্তু ঈদ যত সামনে আসবে, কোরবানির পশুর চাহিদাও বাড়বে। তা ছাড়া ইতোমধ্যে ফেসবুকের মাধ্যমে কোরবানির পশু বিক্রির একটি পেজ খোলা হয়েছে।
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।