1. rezaulalam000@gmail.com : সময় বাংলার :
  2. jmitsolution24@gmail.com : JM IT SOLUTION : JM IT SOLUTION
হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার কাচারি ঘর | সময় বাংলার
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ... ||
সিরাজদিখানে ১৫ বছর ধরে স্বামী কর্তৃক নির্যাতনের শিকার ক্ষমা রানী দে! দেখার কেউ নেই সিরাজদিখানে উপজেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং সিরাজদিখানে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে যুবদল নেতার উপর হামলা সিরাজদিখানে সরকারী রাস্তা দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ! সিরাজদিখানে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৪ জন টেটাবিদ্ধসহ আহত ১ ২বাড়িঘর ভাংচুর সিরাজদিখানে ইউপি সদস্য শাহিন সরদারের সংবাদ সম্মেলন ১৮ বছর পর সিরাজদিখানে জামায়েত ইসলামীর কমী সন্মেলন সিরাজদিখানে বালুচর থানা পুলিশ এর আয়োজনে মতবিনিময় সভা সত্যিকারের দেশপ্রেমের দায়বদ্ধতার বোধ সৃষ্টি হয়েছে মুন্সীগঞ্জে জাকের পার্টির মহাসচিব সিরাজদিখানে বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার মুন্সীগঞ্জের ইয়াবা গাঁজা ও ফেনসিডিল সহ ৩০৮ মামলার আলামত ধ্বংস শ্রীনগরে রোটারী ক্লাব অফ বিক্রমপুর এর আয়োজনে ফ্রী  মেডিক্যাল ক্যাম্প সিরাজদিখানে তারেক রহমানের নির্দেশে প্রতিনিধীদলের পূজা মন্ডপ পরিদর্শন সিরাজদিখানে শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ্’র প্রতিনিধীদল পূজা মন্ডপ পরিদর্শন সিরাজদিখানে শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দূর্গোৎসব-জ্ঞানদীপ ঘোষ শারদীয় দূর্গাউৎসবে সনাতন ১৯৯৮- ২০০০ গ্রুপের বন্ধদের উপহার বিতরণ সিরাজদিখানে উপজেলা প্রশাসনের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন বালুচর বাজারে শান্তিপূর্ণ ভাবে ব্যবসা করতে সভাপতি হিসেবে সৈয়দ আমির হোসেনকে চায় সিরাজদিখানে থানায় হামলা অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের মামলায় আরো দুই আসামী গ্রেফতার সিরাজদিখানে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ, নেতাকর্মীদের ক্ষোভ! সিরাজদিখানে পদ্মহেম ধামে শরতের বিকালে সাঁইজীর বাণীর আসর অনুষ্ঠিত শ্রীনগরে প্রভাব খাটিয়ে মসজিদে অবৈধ কমিটি গঠন এলাকার মুসুল্লিদের নিন্দা সিরাজদিখানে ১২৮ জন গ্রাম পুলিশের মাঝে পোশাক বিতরণ ভারতে ইসলাম ধর্ম এবং রাসূল (সা:) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে নিমতলায় প্রতিবাদ সমাবেশ সিরাজদিখান থানা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কারগারে সিরাজদিখানে বুকে ছুরিকাঘাত করে অটোরিকশা ছিনতাই চেষ্টা সিরাজদিখানের কোলা ইউনিয়নে ২৮৫ জনকে টিসিবি’র পন্য বিতরণ শ্রীনগরে একাধিক মামলার আসামী এমারত শেখ ওরফে এমারত চৌকিদার গ্রেফতার সিরাজদিখানে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে অতর্কিত হামলায় আহত-৫ সিরাজদিখানে পূর্ব শত্রুতার জেরে ভাংচুর ও  ২০ লক্ষ টাকার মালামাল লুট

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার কাচারি ঘর

  • সময় বাংলার || সোমবার, ২২ মার্চ, ২০২১, ৯.১৬ এএম
যাচ্ছে গ্রাম বাংলার কাচারি ঘর 1

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার কাচারি ঘর


মোঃ রুবেল ইসলাম তাহমিদ মাওয়া ‍মুন্সীগঞ্জ থেকেঃ

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কাছারি ঘর। যা গ্রামের অভিজাত ও সম্ভ্রান্ত গৃহস্থ পরিবারে ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। বাড়ির বাহির আঙিনায় অতিথি, মুসাফির, বাড়ির ছেলে, ছাত্র ও জায়গিরদের থাকার এই ঘরটি কাছারি ঘর বা বাংলা ঘর নামে সমধিক পরিচিত ছিল। বর্তমানে ড্রয়িং রুমের সাজ-সজ্জার মাধ্যমে কোনো অভিজাত পরিবারের আভিজাত্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ঝাড়বাতি, সোফাসেট, অ্যাকিউরিয়াম, ইন্টেরিয়র , রুচিশীল কোনো ছবি দিয়ে মনোমুগ্ধকর ভাবে সাজানো হয় অতিথি শালা বা ড্রইংরুম৷ এক সময়ে গৃহস্থ বাড়ির একমাত্র আভিজাত্যের প্রতীকই ছিল বাড়ির বাহির আঙিনার বৈঠকখানা ।

যাচ্ছে গ্রাম বাংলার কাচারি ঘর 1মানুষের কাছে যা কাছারি ঘর নামে পরিচিত ছিল। এই কাছারি ঘরের চৌকির ওপর থাকত বাড়ির অবিবাহিত ছেলে বা ছাত্ররা। আর মেহমান বা অতিথিরা এলে চৌকির ওপরে থাকতে দেয়া হতো। মাটিতে একঢালা হোগল পাতার বা বাঁশের চাটাই বিছিয়ে বিছানা করে থাকত বারোমাসি কামলারা ও রাখাল । গড় গড় শব্দে তারা হুক্কা টানত আর ধোঁয়া ছাড়ত। প্রতি রাতেই পাড়ার সব কামলা/রাখাল বড় কোনো কাছারি ঘরে মিলিত হয়ে গানের আসর বসাতো। গান করত পল্লীগীতি, ভাটিয়ালী, রূপবান,গুনাই বিবি, আলোমতি, সাগরভাসা, বেহুলা লখিন্দরের পালা। মাঝে মাঝে গভীর রাত পর্যন্ত বসত শালিস বৈঠক৷ গৃহ অভ্যন্তরে যারা থাকতেন তাদের চোখেও ঘুম ছিলো না, চা আর পানের ফরমায়েশ রক্ষা করতে৷ প্রায় প্রতিটি রাতে কাছারি ঘরওয়ালা বাড়িতে আসত অনাত্মীয়- অচেনা কোনো মুসাফির। ভেতর বাড়ি থেকে শোনা যেত কোনো অচেনা মুসাফিরদের কণ্ঠ : ‘বারত্তে কেডা আছেন ? কাছে এলে বলত : থাক্‌পার জাগা হবে। অনেক রাইত অইছে, নদী পার হওন যাবো না।’ এই নদীর কারণেই বাঙালিরা হয়ে উঠেছিল- অতিথি পরায়ণ। আরবের মানুষও অতিথি পরায়ণ হয়েছিল, শুধু মরুভূমির কারণে। যত রাতেই আসুক অতিথিদের না খেয়ে শুতে দিত না বাড়িওয়ালারা। মজার ব্যাপার হলো- এ সব অতিথিরা রাতের অন্ধকার থাকতেই উঠে চলে যেত, তবে বাড়ির কোনো কিছু হারায়নি কোনো দিন। কাছারি ঘরের সামনে ছিল বারান্দা। বারান্দায় সব সময় একটি হেলনা বেঞ্চ থাকত। ক্লান্ত পথিকরা এখানে বসে একটু জিড়িয়ে নিত। কখনো কখনো পান-তামাক (হুক্কা) খেয়ে যেত। বারান্দার একপ্রান্তে ছোট কক্ষে থাকতেন মসজিদের মৌলভি বা মক্তবের শিক্ষক৷ এখন আর কোনো বাড়িতে কাছারি ঘর নেই। যে কয়টি আছে তা ব্যবহৃত না হওয়ায় অবহেলা, অযত্নে মৃত প্রায়৷ বারোমাসি রাখালের প্রচলন নেই, নেই রাখালি গান। বাড়ির ছেলেদের রাতে বাইরে থাকার অনুমতি নেই৷ অবকাঠামো উন্নতির ফলে মাঠে ঘাটে যারা কাজ করে তারা দিন শেষে নিজ বাড়িতে চলে যায়৷ পরিবার গুলো ছোট ও আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে৷ তাই বিলুপ্ত হচ্ছে শতবর্ষের ঐতিহ্য কাছারি ঘর নামে খ্যাত বাহির বাড়ির বাংলো ঘরটি।

অন্যদের সাথে শেয়ার করুন ||

আরও সংবাদ ||

                            @  SOMOYBNGLAR # কোনো লেখাছবিভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য

.