কুমিল্লায় গ্রাম পুলিশকে ইয়াবাসহ আটকের পর ছেড়ে দিল চেয়ারম্যান!
কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে গ্রাম পুলিশকে ইয়াবাসহ জনতা আটকের পর তাকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে জিংলাতলী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। বুধবার (১৫ এপ্রিল) সকালে দাউদকান্দি উপজেলা জিংলাতলী ইউনিয়নের ছান্দ্রা গ্রামে। গ্রাম পুলিশ আনোয়ার হোসেন জিংলাতলী ইউনিয়ন পরিষদ এর দায়িত্ব পালন করছে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গ্রাম পুলিশ আনোয়ার হোসেন ছান্দ্রা গ্রামের মিজানের ছেলে সাদ্দাম এর নিকট কিছু ইয়াবা ক্রয় করে। গ্রাম পুলিশের দাপট খাটিয়ে কিছু কম দেয়। এ সময় সাদ্দাম ইয়াবা চোর বলে চিৎকার করলে জনতা তাকে গণধোলাই দিয়ে আটকে রাখে। তার নিকট চার পিছ ইয়াবাসহ আটক করে । খবর পেয়ে রুহল আমিন মেম্বার ও টেক্স আদায়কারী নাছির জনতার থেকে উদ্ধার করে জিংলাতলী ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলমগীর মোল্লা কে জানায়। আলমগীর মোল্লা চেয়ারম্যান পরিষদে এসে গ্রাম পুলিশ আনোয়ার হোসেন কে ছেড়ে দেয়। গ্রাম পুলিশ আনোয়ার হোসেন কে পুলিশে না দিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়ায় এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। জানাযায় গ্রাম পুলিশ আনোয়ার হোসেন দাপট খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা ও চুরি করে আসছে। তিন দিন আগেও একটি প্রকল্পে মাছ চুরির জড়িত থাকায় দাউদকান্দি মডেল আভিযোগ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী হাছান আলী বলেন, ইয়াবা খোর বলে বলে ধর ধর বলে চিৎকার দিলে জনতা গণধোলাই দেয়। পরে ওয়ার্ড মেম্বার রুহুল আমিন চার পিছ ইয়াবাসহ ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। রুহুল আমিন মেম্বার কথা বললে তিনি জানান, তিনি বলেন গ্রাম পুলিশ আনোয়ার হোসেন কে চার পিছ ইয়াবাসহ জনগণ ধরেছে খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে পরিষদ নিয়ে যাই।
এ বিষয়ে বুধবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে জিংলাতলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলমগীর মোল্লা বলেন,এ ঘটনার সত্যতা নাই, আমি ঘটনাস্হলে যাই নাই,শুনেছি তাকে পুলিশে দিছে সে তো থানার আন্ডারে কাজ করে।
এ বিষয়ে গৌরিপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুর নূর বলেন,শুনেছি সে মাদক সেবন করে, তাকে খবর দিয়ে এনে দাউদকান্দি ব্রীজের ডিউটিতে জয়েন্ট করাই দিছি, সে চেয়ারম্যান এর এখানে কাজ করে।