পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার গারাবাড়ি গ্রামের চাচা মফিজুল হক চন্দনের ছেলে জিহাদের সঙ্গে তারই আপন চাচাত ভাই রাজিবের বাগবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এর আগে, রাজিব বাড়ির গাছের আম পাড়ার জন্য জিহাদদের বাড়ির উঁচু একটা বাঁশ নিয়ে আম পাড়ছিলেন। এ সময় দুজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জিহাদ গরু জবাই করার ছুরি দিয়ে তিনবার রাজিবের পেটে আঘাত করে। রাজিব মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজিবের উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানেও তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালের তিনতলা থেকে নিচে নামানোর সময়ই রাজিব মারা যান।নিহত রাজিবের মামা ফরিদ মিয়া আমাদের সময়কে জানান, আমপাড়াকে কেন্দ্র করে রাজিবের চাচাত ভাই জিহাদ ছুরিকাঘাত করে তাকে হত্যা করেছে। রাজিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় তিনি গ্রামের বাড়ি আসেন। এদিকে রাজিবের মৃত্যুর খবর শুনে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে হত্যার প্রতিবাদ ও অপরাধীদের কঠর শাস্তি দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতারা। ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। অপরাধীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।’
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য তানবীর হাসান ছোট মনির আমাদের সময়কে বলেন, ‘এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। সামান্য আম পাড়াকে কেন্দ্র করে আমরা একটি মেধাবী ছেলেকে হারালাম। এটা মেনে নেওয়া যায় না। অপরাধী যেই হোক না কেন তার উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।’
@ SOMOYBNGLAR # কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য।